স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য্য রক্ষায় হলুদ

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য্য রক্ষায় হলুদ


হলুদ রোজকার রান্নায় যে মসলা
টি রং ও ভিন্ন স্বাদ যোগ। বাঙালির রান্না হলুদ ছাড়া যেন অপূর্ণ। তবে শুধু রান্নার কাজেই নয়, হলুদের আরও অনেক গুণই আছে যা সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজে আসে। রং জন্য এই মসলা বর্ণবতী নামে পরিচিত। এছাড়া বহুওষধী গুণের কারনে এ মসলা কাঞ্চনী, পীত, বরবর্ণিলী, ও যোষিৎপ্রিয়াসহ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। হলুদের অনেক গুণ আছে যার বেশীরভাগই আমাদের কাছে অজানা।

তামাকজাত ও মদপান জনিত ক্ষতি থেকে বাঁচতে

ধূমপানের ফলে তামাক ও নিকোটিন ফুসফুসের ক্ষতি করে। কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন খানিকটা হলেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় ও ফুসফুসের প্রদাহ হ্রাস করে। য়মিত মদ্যপানের ফলে যে গ্যাস্ট্রিকের প্রদাহ, মস্তিস্ক ও ফ্যাটি লিভার ডিসিস হয়, তার থেকে বাঁচতে কাঁচা হলুদ সাহায্য করে।

পিরিয়ডসের সময়

পিরিয়ডসের আগে বা পিরিয়ডসের সময় পেটে ব্যথা যদি হয়, তাহলে নিয়ম করে কাঁচা হলুদখান। কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পলি-সিস্টিক ওভারি থাকলেও কাঁচা হলুদ নিয়ম করে খেয়ে যান, উপকার পাবেন।

রক্তচাপ কমাতে

কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন রক্তনালীকে উন্মুক্ত করে ও রক্ত চলাচলে বাঁধাকে দূর করে রক্তচাপ কমায়।

ব্রণ কমাতে

কাঁচা হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখে ব্রণকে কমায়। ব্রণ সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মাখুন ও খান, দেখবেন তাড়াতাড়ি উপকার পাচ্ছেন।

স্বরভঙ্গ

কোনো সাধারণ কারণে স্বরভঙ্গ হলে দুই গ্রাম আন্দাজ হলুদের গুঁড়ো চিনির শরবতে মিশিয়ে একটু গরম করে খেলে চমৎকার উপকার হয়। গরম দুধে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে রাতে খেলে স্বরভঙ্গ ও গলাবসা ঠিক হয়ে যায়।

চুলের জন্য

কাঁচা হলুদ খুশকির সমস্যা, চুল পড়ার সমস্যা, ইত্যাদির থেকেও মুক্তি দেয়।

প্রজননে

হরমোনের সমস্যার জন্যে যদি প্রেগন্যান্সিতে সমস্যা হয়, তাহলে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ দুধে মিশিয়ে খান, উপকার পাবেন।

তোতলামি কমা

ছোটবেলায় যাদের কথা আটকে যায় গেলে হলুদ গুঁড়ো করে (কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করতে হবে) তা দুই-তিন গ্রাম পরিমাণে এক চা চামচ ঘিয়ে একটু ভেজে সেটাকে দুই-তিনবার চেটে চেটে খাওয়াতে হয়। এতে তোতলামি কমে যায়।

এলার্জি

দেহে এলার্জি উঠলে নিমপাতার গুঁড়ো এক ভাগ, কাঁচা হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সেটা দুই ভাগ ও কনো আমলকীর গুঁড়ো তিন ভাগ এক সাথে মিশিয়ে এক গ্রাম হারে সেটা সকালে খালি পেটে বেশ কিছু দিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।

কফ, সর্দি, কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা

দুধে হলুদকে সিদ্ধ করে বেটে চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দি সারে। পুরনো কফ রোগ, গলা ফোলা ও গলা জ্বালায় আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়ো ৩০ মি.লি. গরম দুধে মিশিয়ে খেলে খুবই উপকার হয়। এতে বড় চামচে দুধ ঢেলে তাতে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে অল্প আঁচে উৎরিয়ে নিতে হয়। এছাড়া খুব বেশি কাশির ঝোঁক হলে এক কাপ ঈষৎ উষ্ণ পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করলে কাশির উপশম হয়।

ডায়াবেটিস

হলুদের গাঠ পিষে, ঘিয়ে ভেজে চিনি মিশিয়ে কিছু দিন খেলে (নিয়মিত) ডায়াবেটিস সারে। প্রমেহও সারে।

Previous Post
Next Post

post written by:

0 Comments: